প্রতিষ্ঠা কালীন প্রেক্ষাপট: ঐতিহ্যবাহী হাজী আব্দুল মতিন মডেল একাডেমি অত্র উপজেলার শিক্ষার অগ্রগতিতে অনন্য ভূমিকা রাখছে। শিক্ষার পাশাপাশি অত্র প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা সাহিত্য, সংস্কৃতি, খেলাধুলা, প্রযুক্তি, বিতর্ক, বিজ্ঞান সকল ক্ষেত্রে কৃতিত্ব অর্জন করে প্রতিষ্ঠানের সুনাম অক্ষুন্ন রেখে চলেছে। অত্র প্রতিষ্ঠান থেকে একজন শিক্ষার্থী মেধাবী, সৎ, কর্মঠ, আধুনিক বিজ্ঞান মনষ্ক, যোগ্য দেশপ্রেমিক ও মানবিক মূল্যবোধ সম্পন্ন আলোকিত মানুষ হয়ে বাংলাদেশকে সমৃদ্ধের পথে এগিয়ে নিয়ে যাবে এ আমার দৃঢ় প্রত্যাশা।
প্রতিষ্ঠান দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে সন্তানের শিক্ষার জন্য অভিভাবকের পরিকল্পিত বিনিয়োগই সর্বশ্রেষ্ঠ বিনিয়োগ। সন্তানের সু-শিক্ষার জন্য সমাজ গুরুত্বপূর্ণ প্লাটফরম। সন্তানকে সময় দিন, সে যাতে সমাজকে বুঝতে পারে। সন্তানের সাথে মাঝে মাঝে বিভিন্ন ধরনের বিনোদনে অংশ নিন। সমাজের অসঙ্গগতিগুলো নিয়ে কথা বলুন। তার নিজের দেশের এবং পৃথিবীর সমস্যাগুলো নিয়ে তার সাথে আলোচনা করুন। আলোচনা করুন সমাজে ও পরিবারে তার দায়িত্ব নিয়ে। একজন শিক্ষার্থী প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রনে যতক্ষণ থাকে পরিবারের নিয়ন্ত্রনে থাকে তার চেয়ে তিনগুন সময়। এই সময়টা সে কিভাবে ব্যবহার করছে তার উপরই নির্ভর করে তার সামগ্রিক বিকাশ। যেকোন পরীক্ষায় জি.পি.এ পাঁচ (৫.০০) প্রাপ্তিই সর্বোচ্চ প্রাপ্তি নয়, শিক্ষার্থীর শারীরিক, মানসিক এবং আবেগিক বিকাশ জরুরী। বিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে একটি ডিজিটাল এবং সুন্দর বাংলাদেশ নির্মানের যে স্বপ্ন আমরা দেখছি তা বাস্তবায়নে পাঠ্যপুস্তকের জ্ঞান অর্জনের সাথে সাথে কো-কারিকুলাম সংক্রান্ত কাজও গুরুত্ব সহকারে আয়ত্ব করতে হবে। আসুন প্রতিষ্ঠান এবং অভিভাবকবৃন্দের পরিকল্পিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে আমরা আগামী প্রজন্মকে গড়ে তুলতে অংশ গ্রহণ করি এবং নির্মান করি সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ এবং বাসযোগ্য পৃথিবী।
পরম করুনাময়ের কাছে প্রার্থনা সকলের মিলিত প্রয়াসে আমাদের প্রিয় শিক্ষাঙ্গনে শান্তি-শৃঙ্খলা ও শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রেখে সকলে যেন অভীষ্ঠ লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারি।